চন্দনাইশ প্রতিনিধি
চন্দনাইশে ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটিতে পদবঞ্চিত ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা ২৫ জুন বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা পৌনে ৭টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের গাছবাড়ীয়া কলেজ গেইট ও বুলার তালুক এলাকায় অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছে। এসময় মহাসড়কের উভয় পাশের হাজার হাজার দুর পাল্লার গাড়ী আটকা পড়ে দূভোর্গ পড়ে যাত্রীরা। খবর পেয়ে বিকাল সাড়ে ৬টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া ইসলাম, চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দীন সরকার, দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের শান্ত করে করলে তারা অবরোধ তুলে নেয়।
জানা যায়, ২৫ জুন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম বোরহান উদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরের স্বাক্ষরিত চন্দনাইশ উপজেলা,চন্দনাইশ ও দোহাজারী পৌরসভা ও গাছবাড়ীয়া সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটি ঘোষণার খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরীএমপি ও থানা আওয়ামীলীগ সমর্থিত তৃণমূল কিছু ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরে বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের গাছবাড়ীয়া কলেজ গেইট ও বুলার তালুক এলাকায় টায়ার সড়কে জ্বেলে বিক্ষোভে শুরু করেন। এ সড়ক অবরোধ প্রায় পৌনে ৪ ঘন্টা ধরে চলে। ফলে এসময় মহাসড়কের উভয় পাশের হাজার হাজার দুর পাল্লার যাত্রীবাহী গাড়ী আটকা পড়ে দূভোর্গ পড়ে যাত্রীরা।
সড়ক অবরোধকালে বক্তব্য রাখেন, জাহেদ, মাসুদ রানা, আরমান, মাহিন, ইফতেখার, স¤্ররাট, কাজী রুমি, হিরু,মানিক, আরমান,আবির ফয়সাল প্রমুখ। এসময় পদবঞ্চিতদের দাবি, সদস্যঘোষিত এ কমিটিতে টাকার বিনিময়ে ইয়াবা ব্যবসায়ী, প্রবাসী অছাত্র বয়োজ্যষ্টদের রাখা হয়েছে। উক্ত কমিটিতে আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরীএমপি ও থানা আওয়ামীলীগ সমর্থিত তৃণমূলের কোন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী নেই বলেও দাবী করেন। সুতরাং তারা এ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার দাবী জানান। অন্যথায় আবারো মহাসড়ক অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচী পালন করবে বলে হুশিয়ারী প্রদান করেন।
এ দিকে খবর পেয়ে বিকাল সাড়ে ৬টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া ইসলাম, চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দীন সরকার, দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের শান্ত করে করলে তারা অবরোধ তুলে নেয়।
অন্যদিকে পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ নেতা জাহেদুর রহমান জানান, নব কমিটিতে নাম আসা জিয়াদ হোসেন হৃদয়, ফরহাদুল আলম সাইমুন, মিজানুর রহমানসহ প্রায় ১৯জন ছাত্রলীগ নেতা ওই কমিটি থেকে পদত্যাগ করবে বলে তাদের গণ স্বাক্ষর দিয়েছে। আরো অনেক ছাত্রলীগ নেতা রয়েছে তারাও ওই কমিটি থেকে পদত্যাগ করবেন বলে জানান।