চন্দনাইশ প্রতিনিধি
চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারীতে ৩০ বছরের পুরোনো রাস্তা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ঘর নিমার্ণ করার চেষ্টাকালে বাঁধা দেওয়ায় পূর্ব পরিকল্পিত প্রতিপক্ষের লোকজনের লোহার লড ও লাটিসোটা আঘাতে মহিলাসহ ৫জনকে গুরুত্বর আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি দোহাজারী পৌরসভার জামিরজুরী উত্তর পাড়া এলাকায় ২৪ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় ঘটে। আহতরা হলো- আবু জাফরের স্ত্রী তাহেরা বেগম (৩২), মৃত হাজী আবদুল মতলবের স্ত্রী ছখিনা বেগম (৫৫),মৃত হাজী মতলবের পুত্র মাসুম (৩০)তার ভাই মিশকাত (১৯) ও মোবারক আলীর পুত্র মোঃ আইয়ুব (৩২)।
আহতদের মধ্যে অন্যান্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিলেও তাহেরা বেগম ও কলেজ পড়–য়া মিশকাতের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাদেরকে প্রথমে চন্দনাইশ হাসপাতাল পরে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় চন্দনাইশ থানায় মোঃ মাসুম বাদী হয়ে একটি মামলা করার প্রস্তুতি চলাচ্ছে বলে জানা গেছে।
পরিদর্শকালে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার জামিজুরী গালিমের দীঘির উত্তর পাড় এলাকায় হাজী আবদুল মতলব বাড়ীর প্রায় ৭/৮ পরিবার দীর্ঘ ৩০ বছর পর্যন্ত চলাচল করছে। হঠাৎ গত দেড় মাস আগে স্থানীয় মৃত আবু জাফর প্রকাশ-জহর আলীর পুত্র আজম (৩৩) ও নাজিম (২৫) ওই চলাচলের রাস্তার উপর ঘর নিমার্ণ করার চেষ্টা করে। এসময় মাসুম বাদী হয়ে চন্দনাইশ থানা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে রাস্তা প্রতিবন্ধকতা নিয়ে অভিযোগ দায়ের করে। পরে স্থানীয়ভাবে কয়েকবার মিমাংশা করার চেষ্টার পরও প্রতিপক্ষের আজিম ও নাজিম স্থানীয় লোকজনের কোন কথায় কর্ণপাত করছেন না। পরে মোঃ আইয়ুব আদালতের সরণাপূর্ণ হলে বিজ্ঞ আদালত কোন স্থাপনা নিমার্ণ না করার জন্য নিষেধধাজ্ঞা জারি করেন।
আদালতের নিষেধধাজ্ঞা অমান্য করে পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে প্রতিপক্ষের আজম ও নাজিম আজ ২৪ ডিসেম্বর ভোর ৫টা থেকে কাজের লোকের মাধ্যমে ঘর নিমার্ণের চেষ্টা চালায়। ভোর ৬টার দিকে প্রতিপক্ষের লোকজন চলাচলের রাস্তার উপর আবারও ঘর নিমার্ণের চেষ্টা করতে দেখে বাঁধা দিলে পরিকল্পীতভাবে প্রতিপক্ষের আজম,নাজিম ও তার পরিবারের লোকজন ও বহিরাগত লোকজন অর্তকিতভাবে তাদের উপর হামলা চালায়। এসময় তাদের হামলায় লোহার লড ও লাটিসোটার আঘাতে মহিলাসহ ৫জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে তাহেরা বেগম ও কলেজ পড়–য়া ছাত্র মিশকাত চমেক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। জানা গেছে তাদের অবস্থা জীবন মরণ সন্ধীক্ষণে রয়েছে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে দোহাজারী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।