রফিকুল আলম :
মাত্র ৫ দিন আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবী প্রদেশ হতে মুহাম্মদ দৌলত তার মা,স্ত্রী ও ছোট্ট ১ ছেলে, ১ মেয়ের সাথে মোবাইল ফোনে কতো কথা বলেন। কে জানতো সকলে তার সাথে যে শেষ বারের মতো কথা বলেছে,নানা স্বপ্ন নিয়ে প্রবাসে পাড়ি দেয় দৌলত। প্রবাস হতে হৃদয়েরটানে ফিরে আসে স্বপ্নের নিড়ে। নিড়ে আসার পর আবার ৪ মাস আগে সকলের সাথে কুশল বিনিময় করে প্রবাসে চলে যায়।
এখন তার পরিবার নিয়ে হৃদয়ে গেঁথে রাখা স্বপ্ন গুলো স্বপ্নই রয়ে গেল। অসময়ে চলে যাওয়ায় তার অবুঝ সন্তানরা আর কখনো পিতার স্নেহ, আদর ও ভালবাসা পাবে না। সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গত ১৪ জানুয়ারী ২০২৩ ইং শনিবার রাত ১ টায় শেখ জাহিদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় (মুহাম্মদ দৌলত) মৃত্যু বরণ করেন। সে ফটিকছড়ি পৌরসভার উত্তর রাঙ্গামাটিয়া বড় টিলাস্থ মরহুম মুহাম্মদ নুরুল ইসলামের পুত্র। মৃত্যুকালে মা, ৪ ভাই, ৪ বোন, স্ত্রী, ১ ছেলে, ১ মেয়ে সহ অসংখ্য আত্নীয় স্বজন রেখে যান। এদিকে আইনি পক্রিয়া শেষে দৌলতের মরদেহ ১৮ জানুয়ারী বুধবার সকালে কপিনে করে বাংলাদেশ বিমান যোগে শাহ্ আমানত বিমান বন্দরে পৌঁছে।
সেখান হতে পরিবারের সদস্যরা দৌলতের মরদেহ গ্রহন করে বাড়ীতে নিয়ে আসলে এক হৃদয় বিধারক দৃশ্যের অবতারনা হয়। তার রেখে যাওয়া হৃদয়ের ধন ছোট্ট ছেলে ও মেয়ে সহ পরিবারের সদস্যদের বুক ফাটা কান্নায় দৌলতকে শেষ বারের মতো দেখতে আসা হাজারো মানুষের নয়ন ও অশ্রু সিগ্ধ হয়ে যায়।
১৮ জানুয়ারী বুধবার বাদে আছর তার বাড়ীর সামনে জানাযার নামাজ শেষে তাকে পারিবারীক কবর স্থানে দাফন করা হয়। জানাযার নামাজে ইমামতি করেন,রাঙ্গামাটিয়া মির মুনিরীয়া দরবার শরীফের মেজ শাহাজাদা হযরতুহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ আবু বক্কর মুনিরী। জানাযার নামাজে ফটিকছড়ি পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব ইসমাইল হোসেম, পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কমিশনার সাংবাদিক রফিকুল আলম,কমিশনার আলা উদ্দীন আল রাকিব সহ শিক্ষক,ব্যবসায়ী ও গন্যমান্য ব্যক্তি সহ হাজারো মানুষ অংশ গ্রহন করেন। ফটিকছড়ি পৌর পরিষদ এক বিবৃতিতে মরহুম মুহাম্মদ দৌলতের মৃত্যুতে তার আত্নার মাগফেরাত কামনা করে শোকাহত পরিবারের সকলের নিকট সমবেদনা জানিয়েছেন।