রফিকুল আলম :
ওমানের মাস্কাট শহরের জেবল সিফা সাগরের পানিতে ডুবে মর্মান্তিক ভাবে নিহত প্রবাসী আব্বাস হোসেন (২৫) ও আজাদ হোসেন (১৯) দুই ভাইয়ের লাশ বৃহস্পতিবার ৭ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বাড়ীতে নিয়ে আসা হয়। পরে নাজিরহাট বড় মাদ্রাসা মাঠে জানাযার নামাজ শেষে দাফন করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ৩ সেপ্টেম্বর ওমানে সিফা সাগরে নিহত আব্বাস ও আজাদের লাশের কফিন বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টায় ফ্লাই দুবাইয়ের একটি ফ্লাইটে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে আসার পর আনুষ্টানিকতা শেষে বাড়ীতে নিয়ে আসলে এক হৃদয় বিধারক দৃশ্যের অবতারনা হয়। এসময় সর্বস্তরের হাজারো মানুষ তাদের বাড়ীতে ছুটে যায়। দুই পুত্রের লাশের কফিন দেখে তাদের মা বার বার অজ্ঞান হয়ে যায়।
পরে নাজিরহাট বড় মাদ্রাসা মাঠে বাদে আছর জানাযার নামাজ শেষে কয়েক মাস আগে মারা যাওয়া তাদের বাবার কবরের পাশে তাদের দাফন করা হয়। জানাযার নামাজে ফটিকছড়ি পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব ইসমাইল হোসেন সহ নাজিরহাট পৌরসভার জনপ্রতিনিধি,রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ সহ হাজারো মানুষ অংশ গ্রহন করেন।
ওমানের হামিরিয়া প্রবাসী আলহাজ্ব মফিজুর রহমান বলেন, ওমানে আমার পরিবার সহ পাশা- পাশি থাকার সুবাদে আব্বাস ও আজাদের পরিবারের সাথে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। তারা খুবই ভালো ছেলে ছিল। তিনি আরো বলেন,ওমানে তাদের বাসা গুলো এখন শূন্যতা বিরাজ করছে।
নিহত আব্বাস ও আজাদ হোসেন ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের চরগাঁও পাড়ার মৃত আহমদ হোসেনের পুত্র। এখন তাদের মা ও ৪ ভাই রয়েছে।