পটিয়া প্রতিনিধি:
পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের হরিণখাইন এলাকায় গৃহবধূ’ টুম্পা আকতার হত্যায় স্বামী-শাশুড়িসহ ৫জনকে আসামী করে থানায় পিতার মামলা।
শুক্রবার এ ঘটনায় গৃহবধূ’র পিতা হাজী মনির আহমদ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হলেন, গৃহবধূ’র স্বামী ওয়াসিম, শ্বাশুড়ি লায়লা বেগম, ভাসুর মো: নাছির, মো: ইয়াছিন, বড় জা শাহীন আকতার।
এ হত্যার বিচারের দাবিতে গতকাল শুক্রবার বিকেলে পটিয়া শান্তিরহাট এলাকায় এক মানববন্ধন করেন এলাকাবাসীরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় ময়না তদন্তের পর টুম্পার বাপের বাড়িতে জানাজা শেষে পাবিবারিক কবর স্থানের দাফন করা হয় বলে থানার এস আই হিরু বিকাশ দে জানান।
মামলা সূত্রে জানাযায়, নিহত গৃহবধূ’ টুম্পা আকতার (২৪) কে বিবাহের পর থেকে যৌতুকের জন্য স্বামী ও শুশুড়পরিবারের লোকজন প্রায় সময় নির্যাতন করে আসত। স্বামী ওয়াসিম বিদেশ থেকে এসে বেকার থাকায় প্রায় সময় স্ত্রীকে মারধর করে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। গত বুধবার রাতে স্বামীর সাথে টুম্পার ঝগড়া বিবাদ ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে দিন বৃহস্পতিবার সকালে স্বামী শ্বশুড়িসহ পরিবারের লোকজন তাকে মারধর করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
পরে তারা রান্নাঘরের টুম্পা গলায় শাড়ি পেছিয়ে আতœহত্যা করে বলে তার বাপের বাড়িতে খবর দেয়। পরে টুম্পার বাপের বাড়ির লোকজন এসে তাকে তার বেডরুমে শোয়া অবস্থায় মৃত দেখতে পায়। এ সময় তার গলায় জখমের কালো দাগের চিহৃ রয়েছে। পরে পটিয়া থানায় খবর দিয়ে পুলিশ টুম্পার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ বিষয়ে পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন জানান, গৃহবধূ টুম্পার হত্যার ঘটনায় তার পিতা হাজী মনির আহমদ বাদী হয়ে স্বামী-শ্বশুড়িসহ ৫জনকে আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।