রফিকুল আলম,ফটিকছড়ি:
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে পৃথক ঘটনায় ২ গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার(১৬জুলাই) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার ভূজপুর থানার মির্জার হাট এলাকার ফটিকছড়ি-হেঁয়াকো সড়কে ফটিকছড়ি গামী বেপরোয়া মিনি ট্রাক উল্টো দিকে গিয়ে – হেয়াকোঁ মূখি সিএনজি অটোরিকশকে ধাক্কা দিলে সিএনজি’র যাত্রী শারমিন আক্তার (৩২) নামের এক গৃহবধুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।এসময় উক্ত গৃহবধূর শিশু পুত্র মোবারক হোসেন (৯) ও শিশু কন্যা চম্পা কলি (১১) আহত হয়েছে। এছাড়া উক্ত থানাধীন নারায়ণহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ জুজখোলা মুস্তারখীল এলাকায় পুকুর থেকে অন্তরা দে (২০) নামে এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, সিএনজি (অটোরিকশা) নিয়ে উপজেলার পাইন্দং বাপের বাড়ী হতে শাশুর বাড়ী যাবার সময় মির্জা হাট এলাকায় বিপরীত দিক আসা একটি মিনি ট্রাক উল্টো ভাবে এসে সিএনজিকে সজোরে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই সিএনজিটি দুমড়েমুচড়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই শারমিন আক্তার নামের এক গৃহবধূ মারা যায় এবং তার ২ শিশু গুরুতর আহত হন। নিহত গৃহবধু শারমিন আক্তার ওই এলাকার মোহাম্মদ আবু তাহেরের স্ত্রী।
এ দিকে উপজেলার ভূজপুর থানাধীন নারায়ণহাট ইউপি’র দক্ষিণ জুজখোলা মোস্তারখীল এলাকায় গতকাল শনিবার (১৬ জুলাই)স্থানীয়রা পুকুরে এক মহিলার মরদেহ দেখে পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে। তবে মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে অন্তরার স্বামী, শ্বশুর-শ্বাশুড়ি পালিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,গত ১৪ জুলাই বিকালে অন্তরার সাথে শাশুড়ীর ঝগড়া হয়। এর পর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। নিখোঁজের ২ দিন পর বাড়ীর পাশের পুকুরে মরদেহ পাওয়া যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মুহাম্মদ তারেক বিন সালাম জানান,বেশ কয়েকদিন যাবৎ অন্তরার শাশুর পরিবারে ঝামেলা চলছিল। কিন্তু অন্তরা দে’র মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে তার শ্বশুর বাড়ির সবাই পলাতক রয়েছে। অন্তরা দে ওই এলাকার উত্তর জুজ খোলা গ্রামের টিটু গুপ্তের স্ত্রী। অন্তরার নীজ বাড়ি পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি। ২ বছর অগে বিয়ে হয়। তাদের ১ বছর বয়সীপুত্র সন্তান রয়েছে।
এ ব্যাপারে হাটহাজারী সার্কেল শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়ে ভূজপুর থানা ওসি হেলাল উদ্দিন ফারুকী ও সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে, ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার মানুষের সাথে কথা বলেছি। গৃহবধু অন্তরার শ্বশুর বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি।
ওসি হেলাল উদ্দিন ফারুকী বলেন, ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে অন্তরার মৃত্যুর প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাবে।