প্রদীপ শীল, রাউজান:
বাড়ীর সামনে ফজল বাগান। বাগানের চারপাশে দৃষ্টিনন্দন সীমানা প্রাচীন। এক’শ ফুট প্রস্থ ও এক’শ ফুট দৈর্ঘ্য আয়তনের বিভিন্ন ফলজ বাগানটি দেখতে কেমন হবে প্রিয় পাঠক। সত্যিকার অর্থে বাড়ির প্রধান ফটক অতিক্রম করতেই মনোমুগ্ধকর পরিবেশ ও পাকা ফলের সুভাষিত গন্ধ মোহিত করে যেই কাউকে। বলছিলাম রাউজান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের চারা বটতল এলাকার চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়কের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত জসিম উদ্দিনের সাজানো বাগানের কথা। রাউজান পৌরসভা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রুচিশীল প্রকৃতি বান্ধব জসিম উদ্দিন অর্ধ একর জায়গায় গড়ে তুলছেন স্বপ্নের দ্বিতল বাড়ী। জায়গার দক্ষিণ অংশে নিপুণ ডিজাইনে করেছেন দ্বিতল বাড়ী। বাড়ীর সামনের বিশাল অংশ জুড়ে গড়ে তুলেছেন পরিকল্পিত ফলজ ও সবজী বাগান। বাগানে রয়েছে আম, জাম, কমলা, জামরুল, পেয়ারা, লেবু, ডালিমসহ বিভিন্ন প্রজাতিভেদে সারিসারি ফলজ গাছ।
বাগানটি পরিদর্শন করে দেখা যায়, ফলজ বাগানের ফাঁকে ফাঁকে রোপন করা হয়েছে শাক ও সবজী ক্ষেত। সেখানে লাগানো হয়েছে বর্ষা মৌসুমের বেগুন, ঢেঁরস,মরিচ, পুই শাক, লাল শাক, জিঙ্গা, কাকরল গাছ। মনের মার্ধুয্য মিশানো বাড়ীর সামনে বাগান প্রসঙ্গে রাউজান পৌরসভা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, ছোট বেলায় প্রকৃতিক পরিবেশে বেড়ে উঠেছি। বর্তমান সময়ে গিঞ্জির জনবসতি পরিবেশের উপর মারাত্মক ভাবে দূষিত করেছে। গণহারে বৃক্ষ নিধণের ফলে জলবায়ু পরিবর্তন হয়েছে। এসব চিন্তা করে বাড়ী করেছি মুক্ত বায়ু ও প্রকৃতি সমারোহ সমৃদ্ধ। তিনি বলেন, দীর্ঘ দিনের সখ ছিল বাড়ীকে বাগানে পরিনত করা। এই কাজে আমি সফল হয়েছি। বাগানটি মনের মতো করে সাজিয়েছি। ফুল ও ফলের মুহুর্মুহু সুভাষ নিয়ে, নিজে বাগানে পরিচর্যা করি অবসর সময়ে। তিনি জানান, বাগানে কয়েক প্রজাতির লেবু গাছ ও কয়েক প্রজাতির পেয়ারা গাছ রয়েছে।