প্রদীপ শীল, রাউজানঃ
অভিনব কায়দায় এক মহিলার স্বর্ণালংকার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ২০ জুলাই দুপুর ১২টার দিকে রাউজান উপজেলা পরিষদের সামনে এই ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে। জানা যায় হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর সর্তা গ্রামের কৃষ্ণা রানী দেব করোনা ভ্যাকসিনের টিকা নিতে রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে যায় সকাল ১১টার দিকে। সেখানে টিকা প্রদান বন্ধ থাকায় বাড়ি ফিরতে একটি সি.এন.জি অটোরিকশা ভাড়া করে কৃষ্ণা রাণী দেব। যাওয়ার পথে টেক্সি চালক মহিলাকে উপজেলায় বিনামূল্যে ৫ লিটার করে সয়াবিন তৈল দিচ্ছে বলে লোভনীয় প্রস্তাব দেয়। তিনি এই প্রস্তাব গ্রহণ না করাই পরে উন্নত মানের চুলা উপজেলা থেকে নেয়ার প্রস্তার করেন। সেইটাতেও রাজি না হওয়ার অনেকটা বাদ্য করে উন্নত চুলা ফ্রিতে নিতে রাজি হন মহিলাটি। গাড়ী থামিয়ে টেক্সির ডাইভার উপজেলা পরিষদের ভিতরে যাওয়ার জন্য মহিলাকে অন্য এক ব্যক্তির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। গাড়ী থেকে নামার আগে ডাইভার মহিলাকে স্বর্ণালংকার সব খুলে ব্যাগে নিতে বলেন এবং জানান, দামী স্বর্ণালংকার দেখলে ফ্রিতে দেবে না। তখন মহিলা সাড়ে তিন ভরি ওজনের সব স্বর্ণালংকার খুলে ব্যাগে গচ্ছিত রাখেন। তখন ডাইভার বলেন মাসী আপনি ব্যাগটি গাড়ীতে রেখে এই লোকটির সাথে যান কোন সমস্যা হবে না। আপনার ছেলে আমার পরিচিত। আমি হলদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ভাই। মহিলাটি বিশ্বাস করে ডাইভারের হাতে স্বর্ণালংকার সহ অন্যান্য জিনিষ পত্র তুলে দেয়। এরপর ডাইভারের পরিচয় করিয়ে দেওয়া লোকটির সাথে উপজেলা পরিষদের ভিতর প্রবেশ করে তিনি। সেখানে লোকটি জানান একটি ফরম নিতে হবে ১০ টাকা দিয়ে। আপনি এখানে একটু বসেন আমি ফরমটি নিয়ে আসি। উপজেলা পরিষদের ভিতরে মহিলাকে বসিয়ে রেখে মুহুর্তেই পালিয়ে যায় ভদ্র বেশি ডাইভারসহ দুই ছিনতাইকারী। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর কৃষ্ণা রাণী দেব রাস্তার উপর দাঁড় করানো গাড়ীটি আর খুঁজে পাইনি। তিনি হলদিয়া ইউনিয়নে উত্তরর্সতা গ্রামে অনিল দেবের স্ত্রী। অভিনব ছিনতাই প্রসঙ্গে কৃষ্ণা রাণী দেব বলেন. আমি ডাইভারকে বার বার বলেছি এ গুলো আমার প্রয়োজন নেই । এগুলো গরীবলোকের জন্য সরকার দিচ্ছি। ডাইভার সহ আরো দুইজন মিলে আমাকে জিম্মি করে বাদ্য করেছে। ছিনতাইয়ের স্বীকার কৃষ্ণা রাণীর পুত্র আশু দেব বলেন. আমার মাকে নেশা জাতীয় পদার্থ শুকিয়ে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়েছে। তিনি জানান ছিনতাইকারী চিহ্নিত করতে আইনের সহযোগিতা নেওয়া হবে।