প্রদীপ শীল, রাউজানঃ
চট্টগ্রামের রাউজানে ৫০টি অবৈধ ইটভাটার মধ্যে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ৩টি গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন।
৪ জানুয়ারী সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত র্যাব, পুলিশ ও ফায়া সার্ভিসের কর্মীদের সহযোগিতায় পরিচালিত উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূর জাহান আকতার সাথি ও পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন। সকাল ১০টায় উচ্ছেদ অভিযানে রাউজান পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের দক্ষিণ পাশের বি.বি.এম নামে মো. লোকমান চৌধুরীর ইটভাটা এবং উত্তর পাশের এইট জিরো এইট নামে রাজীব চৌধুরী রাজুর এবং বিবিসি নামে সৈয়দ হোসেন’র ইটভাটা গুড়িয়ে দিঢেছে।
এসময় তৈরিকৃত কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়। গুড়িয়ে দেওয়া ইটভাটায় ক্ষতির পরিমাণ প্রতিটিতে ২ কোটি টাকা করে ৬কোটি টাকা বলে ধারণা করেছেন ইটভাটা ব্যবসায়ীরা। প্রতিটি ইটভাটাতে শ্রমিক সংখ্যা দেড়শজনের বেশি। প্রায় সাড়ে শত শ্রমিক বেকার হয়েছে বলে দাবি ইটভাটার মালিকদের। অভিযানের সময় ইটভাটা মালিকদের কপালে চিন্তার ভাজ পড়ে যায়। তারা অভিযানের অদূরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক নুরুল্লা নুবী, উপ-পরিচালক জমির উদ্দিন, সহকারী পরিচালক আফজালুল ইসলাম, র্যাব-৭ এর হাটহাজারী অফিসের বিএডি আহমদ উল্লাহ, সহকারী উপ-পরিচালক আফজালুল ইসলাম প্রমূখ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোয়াজ্জন হোসেন বলেন, রাউজানে একটিও বৈধ ইটভাটা নেই। ৫০টি অবৈধ ইটভাটার মধ্যে আমরা ৩টি ইটভাটা স্কেভেটর দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশ পালন করছি আমরা। সাত দিনের মধ্যে সকল ইটভাটা বন্ধের নির্দশে ছিল। কিন্তু পুরো চট্টগ্রাম অবৈধ ইটভাটার সংখ্যা ৫০০/৬০০। একটি উচ্ছেদ করতে তিনঘন্টার বেশি সময় লাগে।
সে হিসেবে একাজ সম্পন্ন করতে ৩ বছর সময় লাগবে। ৭দিনের মধ্যে সকল ইটভাটা বন্ধ করা সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। অপরদিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের নেতৃবৃন্দের সাথে কয়েকজন ইটভাটার মালিকরা দুই মাসের সময় দাবি করেন। তারা বলেন, ইটভাটায় হাজার হাজার লোকের কর্মসংস্থান। তাদের একটু সময় দিলে নিজ থেকে ইটভাটা সরিয়ে নেবে। এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্টেটরা আদালতের নিদের্শনা অমান্য করার সুযোগ নেই বলে জানান।