রফিকুল আলম :
প্রিয়, জীবনের অনেকটা দিন বেঁচে থাকার ইচ্ছা ছিল তোমাকে নিয়ে, বন্ধু নামের কলঙ্ক রফিক আমাকে আর “বেঁচে থাকতে দিলনা” জানি তুমিও আমাকে ছাড়া ভালো থাকবেনা, আমার চেয়ে বেশি তুমি রফিককে বিশ্বাস করতে, আমিও করেছি, তাই আমি আজ তার হাতেই ঠকেছি। বন্ধুত্বের মাঝে সমসাময়িক ভুল বুঝাবুঝি হয়ে থাকে,সমাধান ও হয়,কিন্তু কে জানতো তার অন্তরের কালি, মুখে যে মুখুশ পড়ে আছে ? তুমি আমার জন্যে যা করেছ পৃথিবীতে কোন স্ত্রী তার স্বামীর জন্যে করবেনা, আমি তোমার
জন্যে কিছুই করতে পারিনি, আমাকে ক্ষমা করো সহ নানা বিষয় উল্লেখ করে। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের নোয়া রাজার বাড়ির সংযুক্ত আরব আমিরাতের আজমান প্রবাসী ২ সন্তানের জনক খাইরুল বশর (৫৫) তার ব্যাবসায়িক পার্টনার উপজেলার সুয়াবিলের রফিকের সাথে অভিমান করে ফেইসবুক লাইভে থেকে অনেক কিছু বলে গত ২২ আগস্ট (সোমবার) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭ টার দিকে তিনি লাকী রাউন্ড নামক এলাকার একটি ভাড়া বাসার কক্ষে লাইভ চলাকালীন গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করেন। তিনি ওই এলাকার মৃত বদিউল আলমের ছেলে।
তার ঘরে বয়োবৃদ্ধ মা, স্ত্রী ও ২ সন্তান রয়েছে। এদিকে বশর তার ফেইসবুক আইডি’তে কি ভাবে প্রতারণার স্বীকার হয়েছে তা ধারাবাহিক ভাবে তুলে ধরেন। এ সময় তিনি তার মৃত্যুর জন্য একই উপজেলার সুয়াবিল গ্রামের প্রবাসী জনৈক রফিক নামের এক জনকে দায়ী করেন। বশর স্ট্যাটাসের আরো কিছু অংশে লিখেন, আমার মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর, ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে বিষ পান করে তুমিও আমার পথে চলে এসো, আমরা চারজন মিলে পরপারে নতুন করে সংসার করব। তোমার স্বামী আজ খুব স্বার্থপর হয়ে গেছে, একা একাই সিদ্ধান্ত নিতে পারে এখন; কাল তোমারই বাড়ি জুড়ে পড়ে যাবে কান্নার রোল, পুলিশ আসবে,আমার লাশ নিয়ে যাবে পোস্টমর্টেম করতে। কেটেকুটে দেখবে সবকিছু,মেডিকেলের ছাত্ররা নাকি শিক্ষা ও নিবে আমার এই মৃত্যু লাশ
থেকে,মৃত্যুর কারণ হিসেবে বলা হবে “অতিরিক্ত কষ্ট আর হতাশার জন্য বেঁছে নিয়েছে আত্মহননের পথ”সত্যটা কাল ও আড়াল হয়ে যাবে, তাহলে বেঁচে থেকে কি লাভ এই মিথ্যার শহরে?? আমাকে যে খুন করেছে রফিক, এই কথাটা কে বলবে? আমার পড়ে থাকা নিতর দেহটা কি বলতে পারবে? যে শহর মৃত্যুর সঠিক কারণটাও নিশ্চিত করতে পারে না,বেঁচে থাকলে সে শহরে আমার কষ্টের অবসান হবে কিভাবে? ভালো থাকুক ভালবাসার মানুষ গুলো।