রফিকুল আলম :
মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডার, সাবেক এমপি,চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি, ফটিকছড়ি ডিগ্রি কলেজ সহ অংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রসিদ্ধ শিল্পপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মির্জা আবু মনসুরের দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদা সম্পন্ন হয়েছে। জানাযার আগে উপজেলা প্রশাসন রাষ্ট্রীয় সম্মান গার্ড অব অনার প্রদান করেন। গত শুক্রবার ২২ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় নগরীর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে প্রথম জানাজা, দুপুর দুইটায় ফটিকছড়ি ডিগ্রি কলেজ মাঠে দ্বিতীয় জানাযার নামাজ ও সব শেষে মরহুমের নিজ বাড়ীস্থ নানুপুর আবু সোবহান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিকাল ৪ টায় তৃতীয় জানাযার নামাজ অনুষ্টিত হয়।
ফটিকছড়িতে জানাযায় নামাজে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মোজাম্মেল হক চৌধুরী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এটিএম কামরুল ইসলাম,ফটিকছড়ি থানার ওসি মীর মোঃ নুরুল হুদা,বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা আকবর, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এইচ এম আবু তৈয়ব, ফটিকছড়ি পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব ইসমাইল হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত), বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রহমান, সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন মুহুরী, নাজিরহাট পৌরসভার মেয়র একে জাহেদ চৌধুরী , ফখরুল আনোয়ার, শাহজাহান,স.ম.বাকের, শাহাজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমেদ সহ ফটিকছড়ির বিভিন্ন এলাকার জনপ্রতিনিধি,বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও সর্বস্তরের হাজারো মানুষ জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ফটিকছড়ির নানুপুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী মির্জা বাড়ির মির্জা আবু আহমেদের ২য় পুত্র। মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রহী রেখে যান।
উল্লেখ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা আবু মনসুর গত ২১ ডিসেম্বর বিকাল ৩ টায় চট্টগ্রাম নগরীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন।